মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো দাবি করেছে, জার্মানিতে তারা এমন একটি 'গোয়েন্দা যুদ্ধ'র আলামত খুঁজে পেয়েছে যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে। ন্যাটোর স্ট্রাটেজিক হাই কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান ইয়ানিস সারেত্স বলেছেন, অভিবাসী সমস্যাকে কেন্দ্র করে জার্মানীর সাধারণ মানুষকে চ্যাঞ্চেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তোলার জন্য রাশিয়া 'গোয়েন্দা যুদ্ধ' শুরু করেছে। জনরোষের মুখে মার্কেলকে ক্ষমতাচ্যুত করাই এ কাজে মস্কোর উদ্দেশ্য।
২০১৪ সালের গোড়ার দিকে ক্রিমিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর পাশ্চাত্যের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অন্যতম প্রধান সমর্থক ছিলেন মার্কেল। আর এ কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জার্মান চ্যাঞ্চেলরের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান।
ন্যাটোর স্ট্রাটেজিক হাই কমিউনিকেশন সেন্টারের সদর দপ্তর লিথুনিয়ার রাজধানী রিগায় অবস্থিত। সেখানে দৈনিক অবজারভারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সারেত্স আরো বলেন, 'ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে গোপনে অর্থ দেয়ার ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে তার মতে, মস্কো বর্তমানে এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে উসকে দিয়ে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।'
অবশ্য সারেত্স বলেন, তিনি একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে কথা বলছেন; ন্যাটোর মুখপাত্র হিসেবে নয়। তিনি দাবি করেন, ইউরোপজুড়ে রাশিয়া বর্তমানে এমন একটি নেটওয়ার্ক গঠনের চেষ্টা করছে যার মাধ্যমে এই মহাদেশকে মস্কোয় বসে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এসব দাবির পক্ষে কোনো সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি ন্যাটোর স্ট্রাটেজিক হাই কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান।
বিডি-প্রতিদিন/৬ মার্চ ২০১৬/শরীফ