মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে অং সান সুচি যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারছেন না সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে এনএলডি কারণ এ লক্ষ্যে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিল বা স্থগিতের ক্ষেত্রে তারা দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। খবর বিবিসির
মিয়ানমারের ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী প্রণীত নতুন সংবিধান অনুযায়ী বিদেশি স্বামী বা সন্তান রয়েছে এমন কোনো মিয়ানমারের নাগরিক দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচির দুই সন্তান ব্রিটিশ তাই তিনি উক্ত ধারার আওতায় চলে আসেন।
এনএলডি থেকে মনোনয়ন পাওয়া দুই প্রার্থী হলেন তিন কিয়াও ও হেনরি ভ্যান থিও। এর মধ্যে তিন কিয়াওকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ থেকে এবং ভ্যান থিওকে উচ্চকক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ পার্লামেন্টের অন্য দলগুলো থেকেও প্রার্থী দেয়া হবে। এদের মধ্য থেকে উভয়কক্ষে ভোটাভুটির মাধ্যমে ২ জনকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য বেছে নেয়া হবে। যেহেতু উভয়কক্ষেই সুচির এনএলডির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সেহেতু তাদের প্রার্থীদের জয় লাভের সম্ভাবনা বেশি। এদের সঙ্গে তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে সেনা মনোনিত একজন প্রার্থী যোগ দিবেন। পরে এই তিন প্রার্থীর মধ্য থেকেই চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে। সেক্ষেত্রে সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিন কিয়াও'র প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। আর চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে পরাজিত দুই প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিন কিয়াও ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সত্তর বছর বয়সী এই রাজনীতিবীদের বাবাও দেশটির পার্লামেন্টের একজন সদস্য ছিলেন। নিষ্ঠাবান ও এনএলডির প্রতি আনুগত্যশীল তিন কিয়াও ফাঁকে ফাঁকে সুচির গাড়িও চালাতেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লক্ষ্যে ভোটাভুটি কখন অনুষ্ঠিত হবে তা জানা যায়নি। তবে আগামী ১ এপ্রিল নতুন সরকার তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে যা হবে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ ২০১৬/শরীফ