চীন তার দাবিকৃত দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে বেসামরিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। দ্বীপপুঞ্জটির বিতর্কিত উডি আইল্যান্ডের সানশা নগরী থেকে এ বিমান চীনের মূল ভূখণ্ডে চলাচল করবে। উডি দ্বীপে চীনের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই এ ঘোষণা দিল বেইজিং।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের এমন দৃঢ় অবস্থানের নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, তাদের ভাষায়, বেসামরিক বিমান চলাচল শুরু হলে এ দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে চলমান পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। চীন ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ এ দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করছে।
অবশ্য দ্বীপপুঞ্জটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব দাবি পুরো অঞ্চলটির অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি সাগরতলে ব্যাপক পরিমাণ তেল ও গ্যাসের মজুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগর পথে জাহাজযোগে বছরে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার সম পরিমাণ বাণিজ্য হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকাগুলোকে নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করছে চীন। পাশাপাশি একই দাবি তুলেছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ান। বিরোধপূর্ণ এসব এলাকা হলো স্পার্টলি, প্যারাসেল, প্রাসাটাস এবং স্কেয়ারবোরো দ্বীপপুঞ্জ।
যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে আঞ্চলিক এ বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। চীনের বিরুদ্ধে ফিলিপাইন, জাপান ও তাইওয়ানের মতো মিত্রদেশগুলোর পক্ষ নিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া, কয়েক দফা মার্কিন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ ২০১৬/শরীফ