মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে শুধু সামনে এগিয়েছে। বর্তমানে ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থ এখন অনেকটাই আমেরিকার সঙ্গে জড়িয়ে। ২০২০-র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমেরিকা ভারত। গত অর্থবর্ষে আমেরিকার থেকে ভারত ১৪০০ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনেছিল। এদিকে সীমান্তসহ নানা বিষয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।
খুব শিগগির ওবামার স্থলে নতুন প্রেসিডেন্ট আসছেন। তিনি হতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা হিলারি ক্লিনটন। এখন এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কে জিতলে ভারত বেশি সুবিধা পাবে তা নিয়ে বিশ্লেষণে নেমেছে দেশটির গণমাধ্যম। ভারতের ব্যাপারে দুই প্রার্থীর নীতিগত অবস্থানও বিশ্লেষণ করেছে তারা।
ভারতের জি নিউজ জানায়, নিউ জার্সির প্রচার সভায় প্রকাশ্যেই নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন রিপাবলিকান প্রার্থী। ট্রাম্প আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভাল হবে। উরির সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায়ও ভারতের পাশে দাঁড়ান ট্রাম্প। এছাড়া ভারতে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল বিজনেস টাওয়ার করেছে তার কোম্পানি। তবে অভিবাসনসহ একাধিক ইস্যুতে ট্রাম্পের কঠোর নীতি ভারতীয়দের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তবে ট্রাম্প নয় হিলারি জিতলেই বেশি খুশি হবে ভারত। হিলারিকে 'উদারপন্থী' হিসেবে বর্ণনা করা হয় ওই প্রতিবেদনে। কারণ হিসেবে বলা হয়, ভারত সম্পর্কে হিলারি অনেক বেশি জানেন। বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে একাধিকবার ভারত সফর করেন হিলারি ক্লিনটন। ওবামার ভারতবান্ধব নীতিগুলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়েছে। জঙ্গিদমন নিয়ে পাকিস্তানকে নাকি একাধিকবার কড়া বার্তা দিয়েছেন হিলারি। তাই ভারতের পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলারি প্রেসিডেন্ট হলেই ওবামার সময় গৃহীত ভারতবান্ধব নীতি বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিডি প্রতিদিন/৭ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা