নিউইয়র্কে বসবাসরত মুসলিমসহ সব অভিবাসীদের পরিচয়সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিও। গতকাল সোমবার নগর ভবনে নানা ধর্ম-বর্ণের লোকজনকে নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, মুসলিম অভিবাসীদের আলাদাভাবে নিবন্ধনের চেষ্টা করা হলেও তা প্রতিহত করা হবে ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় পর স্বভাবতই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন অভিবাসীরা বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীরা। তাদের আশ্বস্ত করতেই মূলত নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিও এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও কঠোরভাবে সমালোচিত হন। আর এ কারণে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সেখানে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় ও অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনে অতি রক্ষণশীলরা স্থান পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে।
মেয়র মুসলিমসহ সব অভিবাসীদের আশ্বস্ত করতে আরও বলেন, আমেরিকায় মুসলমানদের নাম তালিকাভুক্তির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে। নিউইয়র্কে ইস্যু করা কোনো পরিচয়পত্রের তথ্য ফেডারেল সরকারকে দেওয়ার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হবে।
মেয়র বলেন, চারদিকে যে ভীতি বিরাজ করছে, এতে এ কথা জোর দিয়ে বলাটা জরুরি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়াই শেষ কথা নয়। এটাকে শুরু বলা যেতে পারে। অভিবাসী পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনো চেষ্টা চালালে তা মেনে নেবে না নিউইয়র্ক।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-০৩