সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক পৃথিবীকে আড়াআড়ি ভাগ করে দিয়েছিল। পুঁজিবাদের সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার তীব্র বিরোধের সেই পর্ব অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ওয়াশিংটন ও মস্কো এবার হয়তো আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে। নির্বাচনী প্রচারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তিনি রাশিয়ার বন্ধুতা চান। তাতে আগেই সাড়া দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘আমাদের বন্ধু দরকার, শত্রু নয়।’
পুতিন তার এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাই না। তার প্রয়োজনও নেই। আমরা কারও সঙ্গে কখনও শত্রুতা চাইনি , চাইও না। আমাদের বন্ধু দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চাই৷ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।’ এবার প্রথম নয়, এর আগেই ট্রাম্প সম্পর্কে নিজের আশার কথা জানিয়েছেন পুতিন। ট্রাম্প ভোটে জেতার পর প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টকে ফোন করেছেন। এ ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রুশ -মার্কিন সম্পর্ক সন্তোষজনক নয়, এর উন্নতি দরকার। টেলিফোনে আলাপচারিতার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে আমি একমত হয়েছিলাম। আগেই বলেছি, সম্পর্কে উন্নতির জন্য আমরা আমাদের ভূমিকা পালন করব।’ পুতিন স্বীকার করেছেন, গত কয়েক বছরে দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তবে এর জন্য রাশিয়া দায়ী নয়।
নতুন অধ্যায় লিখতে গেলে ট্রাম্প নিজের দেশ থেকেই বাধার সম্মুখীন হবেন, এই ইঙ্গিত আগেই মিলেছে। সিআইএ -র প্রধান জন ব্রেননান রাশিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তিনি বলেন , রাশিয়ার প্রতিশ্রীতি সম্পর্কে আমেরিকার সতর্ক থাকা দরকার। রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত হবে ধ্বংসাত্মক। পুতিনের এ দিনের বক্তব্যের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রাক্তন কর্তা ইভলিন ফারকাসের মন্তব্য, পেন্টাগনের কালো দিনে ফিরে যাওয়া ঠিক হবে না। অর্থাৎ বন্ধুত্বের বিনিময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন সমরসজ্জায় বদল হলে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন ট্রাম্প।
বিডি প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল