চীন ধৈর্য্য ধরে সামরিক, অর্থনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে আজ আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো মহাশক্তিধর দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত নির্মাণ করে বেজিং সৃষ্টি করেছে সংঘাতের পরিস্থিতির। তাই এবার যেকোন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য লালফৌজকে ঢেলে সাজাচ্ছে বেজিং। সামরিক ক্ষমতায় প্রায় আমেরিকাকে ছুঁয়ে ফেলে এবার চীনা বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল ‘J-20’ স্টেলথ ফাইটার জেট। রাডারে অদৃশ্য এই যুদ্ধবিমানটি টেক্কা দেবে অত্যাধুনিক মার্কিন ‘F-22’ যুদ্ধবিমানকে। এছাড়াও মহাসাগরে আধিপত্য কায়েম করতে ও মার্কিন নৌসেনাকে জবাব দিতে প্রথম সারির নৌবাহিনী ও মেরিন কর্পস তৈরি করছেন শি জিনপিং। ক্ষমতায় এসেই জিনপিং লালফৌজের আধুনিকীকরণে মন দিয়েছেন। তাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সেনা এবার পেতে চলেছে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী মিসাইল, অত্যাধুনিক সাবমেরিন ও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার।
গত বৃহস্পতিবার, J-20 যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তির কথা জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম। এই বিমানটি প্রথম নজরে আসে ২০১০ সালে। মার্কিন F-22 ও F-35 যুদ্ধবিমানগুলিকে টক্কর দিতে এই বিমান বানানো হয়েছে৷ এছাড়াও, J-31 নামের আরেকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাচ্ছে চীন। ২০১৪ সালে একটি বিমান প্রদর্শনীতে দেখা যায় এই বিমানটি৷এছাড়াও মার্কিন সেনাকে টক্কর দিতে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী নৌসেনার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে চীন। তাই এবার চীন মন দিয়েছে অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও সাবমেরিন বানাতে। ইতিমধ্যে, স্বশাসিত তাইওয়ানের জলসীমায় ঢুকে পেশিশক্তি প্রদর্শন করেছে লালফৌজের বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং৷ এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগরে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে চিনা রণতরী৷ চিনা নৌসেনার আধিকারিক, ওয়াং ওয়েইমিং জানিয়েছেন, একটি মেরিন কর্পস বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে চিন৷ নাম না করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই জলসীমায় থাকা প্রত্যেকটি যুদ্ধজাহাজের উপর নজর রাখছে চিনা রণতরীগুলি৷ এবং তাঁরা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত৷ ২০২০ সালের মধ্যেই দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পেতে চলেছে লালফৌজ৷
চীনের এই দ্রুত উত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত। সম্প্রতি, করাচি বন্দরে দেখা গিয়েছে চীনা সাবমেরিন। এছাড়াও, ভারত মহাসাগরে একাধিকবার দেখা গিয়েছে চীনা রণতরী। তাই এবার আগ্রাসী বেজিংকে রুখতে হাত মিলিয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। দু'দেশের মধ্যে সম্পাদিত এক চুক্তির মাধ্যমে এবার ভারতের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে মার্কিন সেনা। তবে যাই হোক না কেন নিজের শক্তি সংহত করে এবার চীন খোলা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে মহাশক্তিদের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার