খুব শিগগির ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১২ এপ্রিল সংসদের অধিবেশনে শেষ হচ্ছে। তার পরেই এই রদবদল ঘটতে পারে। কেন্দ্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ফাঁকা পদ পূরণ এবং নতুন মুখ আনতেই এই রদবদল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন। অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে দেয়া হয়েছে প্রতিরক্ষার দায়িত্ব। এমনিতেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে অরুন জেটলিকে। সবমিলিয়ে প্রচণ্ড চাপে জেটলি। তাই তার ওপর থেকে দায়িত্ব কিছুটা হালকা করা হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বেশ কয়েকমাস ধরে অসুস্থ। তাকেও অব্যাহতি দিয়ে সে জায়গায় নতুন মুখ আনা হতে পারে। যদিও বুধবার লোকসভার অধিবেশনে ১৫ মিনিটের বক্তব্যে অনেকটাই সুস্থ ও স্বাভাবিক দেখা যায় সুষমাকে। সূত্রে খবর, পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রীর পদোন্নতি হতে পারে, তাদের সেই জায়গায় আনা হতে পারে নতুন মুখ। তবে এই রদবদলে কারা স্থান পাবেন সে বিষয়েও এখনও কিছু জানা যায়নি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ) সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সরকারের ইতিমধ্যে তিন বছর শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার সরকারে রদবদল ঘটে।
শেষ বার গত বছরের জুলাইয়ে রদবদল ঘটেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত করা হয় সদানন্দ গৌড়াকে। অরুন জেটলির কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাতে এবং এম.জে.আকবরকে দেয়া হয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
বিডি প্রতিদিন/১৬ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা