গোপন সামরিক আদালত চালু করছে পাকিস্তান। মানবাধিকার কর্মীদের তীব্র সমালোচনা উপেক্ষা করে এই সামরিক আদালত পুনর্বহাল করতে একটি বিল পাশ করেছে পাকিস্তান আইনসভার নিন্মকক্ষ। দেশটিতে ২০১৫ সালে সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুলে তালেবান হামলায় অন্তত ১৩৪ শিশু নিহত হওয়ার জেরে প্রথমবারের মতো এই আদালত স্থাপন করা হয়েছিলো।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত বেসামরিক লোকদের বিচারকার্যের জন্য এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলেও, এর দুই বছরের ম্যান্ডেট গত ৭ জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানের নিম্মকক্ষে ইতোমধ্যে পাসকৃত সামরিক আদালত বিলটি অনুমোদনের জন্য আজ সিনেটে তোলা হবে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতেই এই আদালত পুনর্বহাল করতে চেয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। সেসময় পার্লামেন্টের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তা আটকে যায়। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সমাধানে এসেছেন তারা। নতুন বিলে পূর্বের তুলনায় নতুন কিছু সংশোধনীও আনা হয়েছে।
ইতোমধ্যে গত দুই বছরে এ আদালত প্রায় ১৬০ জন ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এ ধরণের গোপন সামরিক আদালতের মাধ্যমে লঘুপাপে গুরুদণ্ড দিচ্ছে পাকিস্তান এমন মন্তব্য করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিডি প্রতিদিন/২২ মার্চ ২০১৭/হিমেল