নিজের স্ত্রীকে ‘তিন তালাক’এর মাধ্যমে ডিভোর্স দেওয়ার পরই এক মুসলিম ব্যক্তিকে ২ লাখ রুপি জরিমানা ধার্য করলো ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্বলের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। একইসঙ্গে বিয়েতে যৌতুক নেওয়া ৬০ হাজার রুপি ও অন্যান্য জিনিসপত্রও ফিরিয়ে দিতে বলেছে পঞ্চায়েত।
রবিবারই সম্বলের রাইসাতি এলাকার মাদ্রাসা খালিল-উল-উলুম’এ তুর্ক কমিউনিটি পঞ্চায়েতে বৈঠকে বসেছিলেন ৫২টি গ্রামের প্রতিনিধিরা। সেখানেই জরিমানার অর্থসহ পণ বাবদ পাত্রপক্ষকে যেসব যৌতুক দেওয়া হয়েছিল তাও ফেরত দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দশ দিন আগেই ৪৫ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় ২২ বছরের এক মুসলিম নারীর। কয়েকদিন যেতে না যেতেই দুই জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এক সময় স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে তাঁকে বাপের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন স্বামী।
তুর্ক কমিউনিটি পঞ্চায়েতের কোঅর্ডিনেটর শাহিদ হোসেন জানান, ‘মেয়েটির ওপর নির্যাতনের পরই তাঁর বাড়ির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় তুর্ক পঞ্চায়েতের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার বৈঠকে বসে পঞ্চায়েত। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে পাত্রকে ২ লাখ রুপি জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে ওই রুপিও দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি’।
শাহিদ হোসেন আরও জানান, ‘পাত্রী পক্ষের কাছ থেকে পণ হিসাবে নেওয়া সমস্ত যৌতুক ও ৬০ হাজার রুপি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে’। তিনি জানান, পঞ্চায়েতের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে কোন অবস্থাতেই কাউকে এক তরফাভাবে তিন তালাক বলার অনুমতি দেওয়া হবে না। যদি স্বামী-স্ত্রী’এর মধ্যে ডিভোর্সের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো একবার ‘তালাক’ উচ্চারণ করা হবে। দ্বিতীয়বারেও একবার তালাক বলা যেতে পারে। যদিও এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলার একটা প্রচেষ্টা করা হবে’।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন, ২০১৭/মাহবুব