চীনের বিরোধিতা উড়িয়ে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে আরও ব্যাপক মহড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিল আমেরিকা। পেন্টাগন সূত্রে খবর, এবার থেকে প্রতি দুই বা তিন মাস অন্তর ওই বিতর্কিত জলসীমায় ব্যাপক আকারের মহড়া ও নজরদারি চলবে। মুখে না বললেও পেন্টাগনের আচরণে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপাত্য মানবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, বারাক ওবামার আমলে প্রশাসনিক কিছু ভুলের জন্যই আজ দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপাত্য চালাচ্ছে চীন। ওই জলরাশিকে বারবার নিজেদের সীমান্ত বলে দাবি করে এসেছে বেইজিং। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত চীনের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাতেও দমানো যায়নি চীনকে। তাই এবার ইটের জবাব পাটকেলেই দিতে চান ট্রাম্প।
উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে মার্কিন বিমানবাহিনী যেভাবে কোরিয়ার সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে, এবার অনেকটা সেই ধাঁচেই মার্কিন নৌসেনার ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ টিম টহল দেবে ওই বিতর্কিত জলসীমায়। চীনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মানতে পারছেন না ট্রাম্প। বেঈজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচিত হয়েছে। চীনের দখলদারি মানতে নারাজ ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই-এর মতো ‘আসিয়ান’ দেশগুলি। এমনকী, তাইওয়ানও। ভারত প্রথম থেকেই এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পক্ষে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানাচ্ছে, ওই বিশেষ টিমে মার্কিন সেনার একেবারে শীর্ষ ও দক্ষ অফিসাররা থাকবেন। চীন যে জলপথকে নিজেদের বলে দাবি করে, সেখানেই টহল দেবে মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ। থাকবে মার্কিন যুদ্ধবিমানও।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর