কাজ করিয়ে নিতে গত এক বছরে কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ ভারতীয় ঘুষ দিয়েছেন। যা এর আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। ৫১ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে দুর্নীতি কমাতে তাদের রাজ্য সরকার উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপই নেয়নি। ভারতের ১১টি রাজ্যে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
ভারতের ৩৪ হাজার ৬৯৬ নাগরিকের ওপর ওই জরিপ চালানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ৩৭ ভাগ মনে করেন দেশে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে। তবে ১৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন দুর্নীতি আগে থেকে কমেছে। ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন অবস্থা আগের মতোই রয়েছে।
ভারতে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি গ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। ৭১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, নিজেদের রাজ্যে দুর্নীতির পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। অন্যদিকে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন মহরাষ্ট্রে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে। ৬৪ শতাংশ মনে করেন অবস্থা আগের মতোই আছে।
দেশটির রাজধানী দিল্লিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, দিল্লিতে দুর্নীতি বেড়েছে, ৩৮ শতাংশ মানুষের অভিমত অবস্থা যেমনটা ছিল তেমনটাই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ২১ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাদের রাজ্যে দুর্নীতি কমেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পঞ্জক কুমার জানান, দুর্নীতির বেশিরভাগটাই লক্ষ্য করা গেছে স্থানীয় পর্যায়ে। জরিপে প্রকাশ পেয়েছে ৮৪ শতাংশ ঘুষ নেওয়া বা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় সরকার সংস্থা অর্থাৎ পৌরসভা, পুলিশ, কর, বিদ্যুৎ, সম্পত্তি নিবন্ধন দরপত্র ইত্যাদি বিষয়ের ক্ষেত্রে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অভিমত কেবল ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন অধিকাংশ ঘুষ লেনদেনের ঘটনা ঘটে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে। যেমন প্রভিডেন্ড ফান্ড, আয়কর, পরিসেবা কর, রেলওয়ে দফতরের ক্ষেত্রে। মাত্র ২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বেসরকারি ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন করা হয়ে থাকে, ৫ শতাংশ মানুষের মত স্কুলে ভর্তি বা এনজিও’এর ক্ষেত্রে এই ঘুষ লেনদেন হয়।
বিডি প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা