হজ যাত্রীদের ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে চলতি বছর থেকে ভারত থেকে হজ যাত্রায় আর ভর্তুকি পাবেন না মুসলিমরা। হজ যাত্রীরা যাতে সস্তায় বিমানের টিকিট পান তার জন্যই এতদিন ভর্তুকি দিত কেন্দ্র।
মঙ্গলবারই হজ যাত্রীদের ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দেশটির কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। তিনি জানান ‘তোষণ নয়, সংখ্যালঘুদের প্রকৃত উন্নয়ন করতে চায় কেন্দ্র, তাই হজে ভর্তুকি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেইে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে’।
মন্ত্রী আরও জানান, ‘ভর্তুকির রুপিতে সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলিম মেয়ে ও নারীদের শিক্ষায় খরচ করা হবে। সূত্রে খবর এই ভর্তুকি প্রত্যাহারের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ৭০০ কোটি রুপি বাঁচবে।
২০১২ সালে কেন্দ্রের তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে হজে ভর্তুকি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির শীর্ষ আদলত। আদালত সেসময় জানায় ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে হজযাত্রীদের ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গত বছরেই এনডিএ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলও গঠন করে। তাদের মতামত নেওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই হজ যাত্রায় ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে হজযাত্রীদের ভর্তুকি প্রত্যাহার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর তীব্র সমালোচনা করলেও ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিআইএম। অন্যদিকে সাবধানী মন্তব্য করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল