হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে দাতব্য সংস্থা অক্সফামের কর্মীদের যৌন কেলেঙ্কারির জেরে গত সোমবার পদত্যাগ করেছিলেন সংস্থাটির উপ-নির্বাহী পেনি লরেন্স। এবার একই কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছা দূতের পদ ছেড়েছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার।
উল্লেখ্য, হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ২০১১ সালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় যায় অক্সফাম কর্মীরা। ওই সময় রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের নিকটবর্তী ডেলমাসে তাদের গেস্ট হাউসে সেক্স পার্টির আয়োজন করে তারা। ওই পার্টির জন্য তারা কম বয়সী যৌনকর্মীদের নিয়ে আসে। ওই গেস্ট হাউসে আসা কয়েকজন যৌনকর্মী অক্সফামের টি-শার্ট পরেছিল। পরবর্তীতে ভবনে যৌনকর্মী নেওয়ার কথা স্বীকার করে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন রোনাল্ড ভন হওয়ারমেরিন।
পরবর্তীতে কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌনকর্মী ভাড়া করা , পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড, নিপীড়ন ও ভয় দেখিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে অক্সফাম। এরপর ভন হওয়ারমেরিনসহ সাতজন সংস্থাটির চাকরি হারান।
ব্রিটিশ দৈনিক টাইমস জানিয়েছে, অক্সফাম হাইতিতে তাদের কর্মীদের ওই কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এই সুযোগে ভন হওয়ারমেরিন ২০১২-১৪ মেয়াদে অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গারের বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হয়ে আসেন।
অভিনেত্রী ড্রাইভার এক বিবৃতিতে বলেন, অক্সফামের কর্মীরা হাইতি ও অন্যান্য দেশে মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের যৌনকর্মে ব্যবহার করেছেন শুনে তিনি আতঙ্কিত।
অক্সফামের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন বলে জানান ড্রাইভার। আর্থ-সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করতে চান বলেও জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
এক টুইটার বার্তায় ড্রাইভার বলেন, আমি অক্সফামের ঘটনায় ভেঙে পড়েছি। যে নারীদের সাহায্যের জন্য কর্মীদের কাজে পাঠানো হল, সেই নারীদেরই এভাবে অপব্যবহারের ঘটনায় আমি বিপর্যস্ত। ৯ বছর বয়স থেকে আমি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য সচেতনতা তৈরির কাজ করছি তাদেরই কাণ্ড দেখে আমি ভেঙে পড়েছি।
অক্সফামের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সফর করেছেন ড্রাইভার। অক্সফামের তহবিল সংগ্রহের জন্যও তিনি কাজ করেছেন।
গুড উইল হান্টিং চলচ্চিত্রের এ অভিনেত্রী বলেন, দাতব্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা ভয়ঙ্কর রকম অপরাধ।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান