শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই তালেবান জঙ্গিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার অর্ধযুগ (৬ বছর) পর প্রথমবারের মত নিজের দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিবি জানিয়েছে, ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো বিমানবন্দরে বাবা-মায়ের সঙ্গে মালালার একটি ভিডিও পাকিস্তানি টেলিভিশনে এসেছে, যেখানে নিরাপত্তার ব্যাপক কড়াকড়ি দেখা গেছে।
নিরাপত্তার কারণেই মালালার বিস্তারিত সফরসূচি গোপন রেখেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। তবে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ করায় মালালার মাথায় গুলি করেছিল তালেবান বন্দুকধারীরা। এখন ২০ বছর বয়সী মালালা সেই নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করে চলেছেন।
মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশে মেয়েদের শিক্ষার সহায়তায় গঠন করেন মালালা ফান্ড। শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৪ সালে ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই।
মালালা পাকিস্তানে চারদিন অবস্থান করবেন বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়। তবে এ সময়ে মালালা তার নিজ শহর সোয়াতে যাবেন কিনা স্পষ্ট নয়। পর্বতসঙ্কুল এই জায়গাটি পাকিস্তানের প্রত্যন্ত উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সেখানে তালেবানসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রবল দৌরাত্ম্য রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম