ইরান, ইসরায়েল এবং তুরস্কের মধ্যে অনেকদিন ধরে বৈরিতা চললেও এরদোগানের বিজয়ে খুশি দেশ দুটি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং এরদোগান একে অপরকে সুযোগ পেলেই কটূ কথা বলেন। কিছুদিন আগেও এরদোগান ইসরায়েলকে ‘জমি দখলকারি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসাবে গালিগালাজ করেছেন।
মুখে বাগাড়ম্বর চলতে থাকলেও ভেতরে ভেতরে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। তুরস্ক ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের কথা বলেনি, এবং কোনো চুক্তি বাতিল করেনি।
বরঞ্চ নির্বাচনে এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বি মুহাররেম ইনজে, ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে অনেক কট্টর কথাবার্তা বলেছেন। কুর্দি-সমর্তক দল এইচডিপি এমনকী ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করার কথা বলেছে।
কিন্তু এরদোগানের একে পার্টি ইসরায়েলের সাথে ব্যবসার ব্যাপারে ততটা কট্টর নয়। এমনকি সম্প্রতি তুরস্কের পার্লামেন্টে ইসরায়েলের সাথে সমস্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের এক প্রস্তাব একে পার্টির ভোটে খারিজ হয়ে যায়।
অন্যদিকে সর্বপ্রথম যারা এরদোগানকে তার বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাদের একজন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
এক সরকারি বার্তায় রুহানি বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সাথে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন