কোরীয় যুদ্ধের সময় তুরস্ক-মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনারা এক সাথে যুদ্ধ করেন এবং যুদ্ধে তিন দেশের অসংখ্য সেনা সদস্য নিহত হন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কোরীয় যুদ্ধে নিহত ৫০০ তুর্কি সেনাদের দেহাবশেষ তুরস্ককে ফেরত দেবে তারা।
এ প্রক্রিয়া শেষ হতে যথেষ্ট সময় লাগবে বলে জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত আরসিন আরসিন গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং সফরকালে জানান, কোরীয় যুদ্ধের সময় তুরস্কের সেনারা মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেন এবং তিন দেশের শত শত সেনা একসঙ্গে নিহত হন। কাজেই তাদের দেহাবশেষ পরস্পর থেকে আলাদা করা ও তাদের জাতীয়তা নির্ধারণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হাজার হাজার বিদেশি সেনা দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করেন। ওই যুদ্ধে ৮৯০ জন তুর্কি সেনা নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। ওই যুদ্ধের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো অবস্থায় ছিল না। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতে কোরীয় যুদ্ধে নিহত বিদেশি সৈন্যদের দেহাবশেষ তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে একটি সমঝোতা হয়।
কোরীয় যুদ্ধের সময় নিখোঁজ ২০০ মার্কিন সেনার দেহাবশেষ উত্তর কোরিয়া ফেরত দিয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের নিহত মহান বীরদের ফিরে পেয়েছি আমরা, আজ তাদের অবশেষ ফেরত পাঠানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ফেরত পাঠানো ২০০ জনকে পেয়েছি।’
পেন্টাগনের তথ্যানুযায়ী, অতীতে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাদের কাছে প্রায় ২০০ জন মার্কিন সেনার দেহাবশেষ আছে। ওই যুদ্ধে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার