ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি আবারো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের আলোচনা হবে ‘নিস্ফল’, ‘অপকারী’ এবং ‘সার্বিক ক্ষতি’।
বুধবার সন্ধ্যায় তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক সময় আমেরিকার ভেতরে এবং বিদেশ সফরে গিয়েও বারবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এ সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরান সন্দেহাতীতভাবে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। প্রথমত, এর মাধ্যমে কোনো ফল আসবে না এবং দ্বিতীয় এটি ক্ষতিকর।”
তিনি আলোচনাকে মার্কিনীদের চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এটি আসলে আলোচনা নয়; বরং চাপ সৃষ্টি করে ফল ঘরে তোলার অপকৌশল।”
তিনি বলেন, এই অপকৌশল মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির কাজে বিদ্যমান উপাদানগুলো ব্যবহার করা।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “যদি এসব উপাদান সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে মার্কিনীরা হয় তাদের চাপ বন্ধ করবে অথবা কমাবে।”
তিনি সামরিক উপায়কে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে পাল্টা চাপ সৃষ্টির একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরোধিতা করার পাশাপাশি এও বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী এই হাতিয়ারও ব্যবহার করতে হবে। সম্প্রতি ইরান সরকার পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতি ইঙ্গিত করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিনীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা নাকচ করে দিলেও তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংলাপে বসতে তেহরানের আপত্তি নেই। তবে সামরিক সক্ষমতাসহ ইসলামি বিপ্লবের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে কোনো আলোচনা করা বা ছাড় দেয়া যাবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণের অন্য অংশে আমেরিকার ফিলিস্তিন বিষয়ক ‘ডিল অব সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দির কথিত সেরা চুক্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমেরিকার ফিলিস্তিন বিষয়ক এই পরিকল্পনাও অতীতের পরিকল্পনাগুলোর মতো ব্যর্থ হবে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ মে ২০১৯/আরাফাত