শিরোনাম
- সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- চুল পড়ে যাওয়া সমস্যার ঘরোয়া সমাধান
- ৫ বছরের চুক্তিতে নতুন ঠিকানায় বায়েনা
- ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
- কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
- মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
- নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
- ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
- অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
- নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
- সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
- ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
- শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
- মার্কিন সিনেটে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
- ‘হলি আর্টিজান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’
- জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
- আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
- জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প
- জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি
ভারতের 'ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র' হয়ে ওঠার ৭টি লক্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

ভারতীয় লোকসভায় প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণে তিনি ফ্যাসিবাদ বা কর্তৃত্ববাদী জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, ভারতের সামাজিক মাধ্যমে সেটাকে 'বছরের সেরা' ভাষণ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা তিরস্কার ধ্বনির মধ্যেই তিনি ফ্যাসিবাদের সাতটি প্রাথমিক লক্ষণ পড়ে শোনান। মহুয়া মৈত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে একটি পোস্টারে তিনি ফ্যাসিবাদের প্রাথমিক লক্ষণসমূহের এক তালিকা দেখেছিলেন।
তালিকার সে সব লক্ষণ তিনি একে একে পড়ে শুনিয়ে বলছিলেন, ভারতের সংবিধান এখন হুমকির মুখে, এবং দেশটির ক্ষমতাসীন দলের 'বিভক্তির রাজনীতি'র কারণে ভারত এখন 'ছিড়ে টুকরো' হয়ে যাচ্ছে।
ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র হয়ে ওঠার ৭টি লক্ষণ হল:
১. দেশে শক্তিশালী ও ধারাবাহিক জাতীয়তাবাদ ক্রমে দেশের জাতীয় পরিচয়ে পরিণত হয়। এটা 'সুপারফিশিয়াল' বা এর আসলে কোন গভীরতা নেই। এটা বর্ণবাদ এবং সংকীর্ণ ভাবনা। এটা বিভক্তি বাড়ায় আর কোনভাবেই ঐক্যের চেষ্টা করে না।
২. 'মানবাধিকারের' প্রতি একটি ব্যাপক অবজ্ঞা" দেখা যাচ্ছে, যা ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে অন্তত ১০ গুণ বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।
৩. গণমাধ্যমের ওপর কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের কড়া সমালোচনা করেন মিস মৈত্র। তিনি বলেন, ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের এয়ারটাইমের বড় অংশ ক্ষমতাসীন দলের প্রচার-প্রোপাগান্ডায় ব্যয় করেছে।
৪. জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সচেতনতার জন্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ভারতে এক ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে এবং প্রতি নিয়ত নতুন শত্রু তৈরি করা হচ্ছে।
৫. "সরকার ও ধর্ম পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এ সম্পর্কে কি আমার বলবার প্রয়োজন আছে? আমার কি বলার প্রয়োজন আছে যে নাগরিক হবার মানে কী সেটাই আমরা বদলে দিয়েছি?" তিনি উল্লেখ করেন, মুসলমানদের টার্গেট করে আইনে সংশোধন আনা হয়েছে।
৬. বুদ্ধিজীবী ও শিল্পের প্রতি চরম অবজ্ঞা দেখানো হয়েছে, এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর শোষণ চালানো হয়েছে। একে ফ্যাসিবাদের সব চিহ্নের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে মিস মৈত্র মন্তব্য করেছেন। "এটা ভারতকে অন্ধকার যুগে নিয়ে গেছে।"
৭. দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থার স্বাধীনতা নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর