শিরোনাম
- বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
- ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
- রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
- ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
- মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
- ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
- বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
- ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
- শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
- পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
- গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ
- চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ড : খাতা চ্যালেঞ্জে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
- জুলাই শহীদদের পরিচয় শনাক্তে আন্তর্জাতিক ফরেনসিক টিম আসছে ৫ ডিসেম্বর
- শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
- রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
ভারতের 'ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র' হয়ে ওঠার ৭টি লক্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
ভারতীয় লোকসভায় প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণে তিনি ফ্যাসিবাদ বা কর্তৃত্ববাদী জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, ভারতের সামাজিক মাধ্যমে সেটাকে 'বছরের সেরা' ভাষণ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা তিরস্কার ধ্বনির মধ্যেই তিনি ফ্যাসিবাদের সাতটি প্রাথমিক লক্ষণ পড়ে শোনান। মহুয়া মৈত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে একটি পোস্টারে তিনি ফ্যাসিবাদের প্রাথমিক লক্ষণসমূহের এক তালিকা দেখেছিলেন।
তালিকার সে সব লক্ষণ তিনি একে একে পড়ে শুনিয়ে বলছিলেন, ভারতের সংবিধান এখন হুমকির মুখে, এবং দেশটির ক্ষমতাসীন দলের 'বিভক্তির রাজনীতি'র কারণে ভারত এখন 'ছিড়ে টুকরো' হয়ে যাচ্ছে।
ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র হয়ে ওঠার ৭টি লক্ষণ হল:
১. দেশে শক্তিশালী ও ধারাবাহিক জাতীয়তাবাদ ক্রমে দেশের জাতীয় পরিচয়ে পরিণত হয়। এটা 'সুপারফিশিয়াল' বা এর আসলে কোন গভীরতা নেই। এটা বর্ণবাদ এবং সংকীর্ণ ভাবনা। এটা বিভক্তি বাড়ায় আর কোনভাবেই ঐক্যের চেষ্টা করে না।
২. 'মানবাধিকারের' প্রতি একটি ব্যাপক অবজ্ঞা" দেখা যাচ্ছে, যা ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে অন্তত ১০ গুণ বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।
৩. গণমাধ্যমের ওপর কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের কড়া সমালোচনা করেন মিস মৈত্র। তিনি বলেন, ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের এয়ারটাইমের বড় অংশ ক্ষমতাসীন দলের প্রচার-প্রোপাগান্ডায় ব্যয় করেছে।
৪. জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সচেতনতার জন্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ভারতে এক ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে এবং প্রতি নিয়ত নতুন শত্রু তৈরি করা হচ্ছে।
৫. "সরকার ও ধর্ম পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এ সম্পর্কে কি আমার বলবার প্রয়োজন আছে? আমার কি বলার প্রয়োজন আছে যে নাগরিক হবার মানে কী সেটাই আমরা বদলে দিয়েছি?" তিনি উল্লেখ করেন, মুসলমানদের টার্গেট করে আইনে সংশোধন আনা হয়েছে।
৬. বুদ্ধিজীবী ও শিল্পের প্রতি চরম অবজ্ঞা দেখানো হয়েছে, এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর শোষণ চালানো হয়েছে। একে ফ্যাসিবাদের সব চিহ্নের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে মিস মৈত্র মন্তব্য করেছেন। "এটা ভারতকে অন্ধকার যুগে নিয়ে গেছে।"
৭. দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থার স্বাধীনতা নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর