২০২১ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে কোন ব্যক্তির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সেই ব্যক্তিকে আর সরকারি দেওয়া হবে না- এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের আসাম রাজ্য সরকার। সোমবার রাতে রাজ্যের ক্যবিনেট বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যটিতে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের পাবলিক রিলেশন দফতরের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সরকারের লক্ষ্য হল ছোট পরিবার। তাই দুইটির বেশি সন্তানের বাবা-মা সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না। আগামী ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই নিয়ম।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারেরই এক মন্ত্রী জানান, ‘জনসংখ্যা নীতি কার্যকর করা খুবই জরুরি, কারণ এটা আসামের সম্পদ ও জমির ওপর প্রচণ্ড পরিমাণে প্রভাব ফেলছে।’
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর জনসংখ্যা ও নারী ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত একটি বিল পাশ হয় আসাম বিধানসভায়। যার নাম ছিল ‘পপুলেশন এন্ড ওইমেন এমপাওয়ারমেন্ট পলিসি অফ আসাম'। সেখানেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল কেবলমাত্র দুইটি সন্তান থাকা ব্যক্তিরাই সরকারি চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যেই সরকারি চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য হবে। দুই বছর পর সোমবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে সেই নীতিই গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিল আসাম সরকার।
যদিও বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা ও উত্তরাখন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। তাঁর অভিযোগ, ‘আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। এটা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয় এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।’ এই সিদ্ধান্ত অন্তত নির্মম বলেও অভিহিত করেছেন এই কংগ্রেস নেতা।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব