২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৯:৫৮

ইউরোপমুখী শরণার্থীদের আটকাবে না তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক

ইউরোপমুখী শরণার্থীদের আটকাবে না তুরস্ক

দ্বার খুলে দিয়েছে তুরস্ক, শত শত শরণার্থী দেশটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছেন। বুলগেরিয়া ও গ্রিস হয়ে তারা ইউরোপের উন্নত দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন।

তবে কি আবারও শরণার্থী সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইউরোপ? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর আগেও কয়েকবার ইউরোপকে শরণার্থী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহতের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে  হামলার পর শুক্রবার এরদোয়ানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের ‘আর ধরে রাখা সম্ভব না'।

সিএনএন তুর্ককে তিনি বলেন, ওই হামলার কারণেই তুরস্কের শরণার্থীরা ইউরোপে রওয়ানা হয়েছে। এছাড়া যেসব শরণার্থী এখনো সিরিয়ায় আছে, তারাও তুরস্কে আসতে শুরু করেছে। আমাদের শরণার্থী নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, সেটা আগের মতোই আছে। কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর তাদের ধরে রাখা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই প্রায় তিনশ' শরণার্থী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছে বলে জানায় ডিএইচএ নিউজ।

শরণার্থীদের ওই দলে নারী ও শিশুরাও আছে। তারা তুরস্কের এর্দিনে প্রদেশ থেকে রওনা হয়ে বুলগেরিয়া ও গ্রিস সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। শরণার্থীদের দলে সিরীয়, ইরানি, ইরাকি, পাকিস্তানি এবং মরোক্কানরা আছেন।

২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

তারপর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যে কোনো দরকষাকষিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নিয়মিতই ‘শরণার্থীদের ছেড়ে' দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর