১৫ এপ্রিল, ২০২০ ১২:১০

কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন আজ, করোনার মধ্যেই চলছে ভোটগ্রহণ

দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি

কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন আজ, করোনার মধ্যেই চলছে ভোটগ্রহণ

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কালেন্ডার স্থগিত হয়ে গেলেও দক্ষিণ কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২১তম জাতীয় নির্বাচন। বুধবার ভোর ৬টায় কোরিয়ার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, ৮ শতাংশ ভোটার সকাল ৯টা নাগাদ ভোট দিয়েছেন।

এই বছরের সাধারণ নির্বাচনে ২৫৩ নির্বাচনী ক্ষেত্রে এবং ৪৭টি সমানুপাতিক প্রতিনিধি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতে, ৪৩.৯৯ মিলিয়ন ভোটারদের মধ্যে মাত্র ৩.৩৩ মিলিয়ন ভোটাররা সকাল নাগাদ ভোট দিয়েছেন।  

প্রথম দিকে ভোটের প্রথমভাগের অংশ গ্রহণের হার ১টা থেকে সামগ্রিক চিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই বছরের সাধারণ নির্বাচনে শুক্র ও শনিবার ২৬.৬৯ শতাংশ অগ্রিম ভোটারদের ভোট শুরুর দিকে রেকর্ড করেছে।

দেশের তিনটি স্থল সম্প্রচারক দ্বারা পরিচালিত এক্সিট পোলগুলোর ফলাফল বিকেল ৬টার নাগাদ ঘোষণা করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ফলাফল বৃহস্পতিবার বিকেলে পাওয়া যাবে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য ব্যালট হাতে হাতে গণনা করা হবে। এই বছরের নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রবর্তনের কারণে দলগুলোর ব্যালটটি ৪৮ সেন্টিমিটারের বেশি পরিমাপ করে, যা মেশিন দ্বারা গণনা অসম্ভব। 

মহামারি মোকাবিলায় নেওয়া প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি, বেতন-ভাতা এবং উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার কর্মসূচি নির্বাচনে প্রভাব রাখার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের নেওয়া পদক্ষেপ বাকি সবকিছুকে আড়াল করে দিয়েছে। এক বছর আগেও নানা কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মুন। 

দক্ষিণ কোরিয়া কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে স্বতন্ত্র জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত প্রথম প্রধান দেশ। একাধিক মতামত জরিপে দেখা গেছে যে মুন জে ইনের জনপ্রিয়তার রেটিং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ করোনা মহামারিটি সরকার খুব ভালভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে। 

আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, আর এতে ভোট দিতে পারছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরাও। দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা প্রকোপ বেশি থাকায় দেগু এবং রাজধানী সিউল শহরের ৩ হাজার রোগীর জন্য আটটি পোলিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ৯০০ মেডিকেল স্টাফ আগাম ভোট দিয়েছেন।

এক জরিপ বলছে, গত ১৬ মাসের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টি জনপ্রিয়তায় এখন প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেড ফিউচার পার্টির চেয়ে ১৫ শতাংশ এগিয়ে আছে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর