বিরোধপূর্ণ লাদাখে আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে। চীন প্রশ্নে যেন একই রকম কুয়াশা ও হতাশা দেখা যাচ্ছে ভারতীয় নেতৃত্বের মধ্যে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মুখে এখন সংযমের কথা। আশার কথা শোনাতে পারছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি চীন প্রশ্নে হতাশ হয়ে পড়ছে সাউথ ব্লক?
মোদি সরকারের লক্ষ্য ছিল শীত পড়ার আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চীনা সেনাকে পিছু হটানো এবং পিএলএ-র সমাবেশ কমানো। কিন্তু কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে চেষ্টার পরও পরিস্থিতি সেই অন্ধকারেই, তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছে সাউথ ব্লক।পাশাপাশি এটাও বলা হচ্ছে, ভারত-চীন সীমান্ত পরিস্থিতি আবার আগের মতো করে তোলা খুবই কঠিন।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আজ আমরা সম্ভবত চীনের সঙ্গে সবচেয়ে কঠিন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। গত ৩০-৪০ বছর বা তারও বেশি সময়ে এতটা সমস্যা সঙ্কুল হয়নি সম্পর্ক। বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে পুরনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া এখন খুবই বড় ব্যাপার।
তার বক্তব্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি এবং সুস্থিতি সংক্রান্ত যে-সব চুক্তি ছিল, সেগুলিকে লঙ্ঘন করার প্রশ্নে পাঁচটি আলাদা আলাদা কারণ দেখিয়েছে চীন। ফলে সব মিলিয়ে সম্পর্ক অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চীন নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে সর্বদাই চড়া স্বরে কথা বলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কোনো দেশের নাম না-করে, সংযত থাকার প্রস্তাবই দিয়েছেন।
তার কথায়, আমরা পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা যত বাড়াব, সমস্ত কাজে আত্মসংযম অভ্যাস করব, ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হবে এমন কার্যকলাপ পরিহার করে চলতে পারব গোটা অঞ্চলে তত স্থায়ী হবে শান্তি।
প্রতিরক্ষমন্ত্রী এ মন্তব্যের মাধ্যমে চীনের উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক ভাবে চীনের বিরুদ্ধে কড়া স্বরেই কথা বলতে দেখা গেছে রাজনাথকে। আপাতত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে বলেই কি সাউথ ব্লক কিছুটা হতাশ-উঠছে এই প্রশ্ন।
সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন