ইন্দোনেশিয়া খুব শিগগিরই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বলে জেরুজালেম পোস্টসহ দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম যে খবর প্রকাশ করেছে তা নাকচ করে দিয়েছে জাকার্তা।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তেউকু ফাইজাসিয়া মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়া ইসরায়েলকে কিছুতেই স্বীকৃতি দেবে না। খবর জাকার্তা পোস্টের।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কখনওই ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়ার যে পররাষ্ট্র নীতি রয়েছে তা মূলত দেশের সংবিধান অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
আরও কয়েকটি মুসলিম দেশ সেই পথে এগোচ্ছে। সেই সূত্র ধরে ইসরায়েলের ইংরেজি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট অজ্ঞাত এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রবিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওমান এবং ইন্দোনেশিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এরপর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তেউকু ফাইজাসিয়া দেশটির অবস্থান পরিষ্কার করেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে আরও বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া এবং ওমান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার আগেই দেশ দুটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে ইন্দোনেশিয়া ফিলিস্তিনের জনগণ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থক। দেশটি সবসময় ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনও ধরনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা নাকচ করে এসেছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ফিলিস্তিনের প্রতি তার দেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পূর্ণব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম