ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, জেনারেল সোলাইমানির হত্যাকারীদের জন্য আরও বড় চপেটাঘাত অপেক্ষা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ কামাল খাররাজি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাধারণ জনগণের মাঝে জেনারেল সোলাইমানির ব্যাপক প্রভাব ছিল বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সোলাইমানির শাহাদাতে এ অঞ্চলের জনগণ মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে।
কামাল খাররাজি বলেন, ইরাক ও ইরানে জেনারেল সোলাইমানির জানাযার নামাজগুলোতে লক্ষ কোটি জনতার অংশগ্রহণ ছিল তাকে হত্যার নির্দেশ দানকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি বড় ধরনের চপেটাঘাত।
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সামরিক উসকানি ও ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হঠকারিতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে ইরানের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকার এই উসকানির প্রধান লক্ষ্য মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। ইরান সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে এই আশঙ্কায় আমেরিকা এত বেশি তোড়জোড় করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের চেয়ারম্যান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মার্কিনিরা যদি সামান্যতম ভুলও করে বসে তাহলে তাদেরকে চরম প্রতিশোধের সম্মুখীন হতে হবে।
গত বছরের ৩ জানুয়ারি ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকারপন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার নিহত হন। নিহত এসব যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই দুই দেশে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন সফল জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম