জো বাইডেন ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবং কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের সাথে সাথে ইউএস সিনেটে ডেমক্র্যাটদের ৫১ ভোট হবে অর্থাৎ তারা হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তার পরদিনই শুরু হবে ট্রাম্পের বিচার। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে, গত বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের পাশ হওয়া ইমপিচমেন্টের আর্টিক্যাল স্পিকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএস সিনেটে পেশ করবেন ১৯ জানুয়ারি সিনেট অধিবেশন শুরুর সময়েই।
সেই বিচারে সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন জি রবার্টস জুনিয়র। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য (ম্যারিল্যান্ড-ডেমক্র্যাট) জেমি বি রাস্কিন হচ্ছেন ইমপিচমেন্ট-ম্যানেজার। তিনি ইতিমধ্যেই ফেডারেল ক্রিমিনাল আইনে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ এটর্নি ব্যারি বারকে এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ এটর্নি জসুয়া ম্যাটজকে কাউন্সেল নিযুক্ত করেছেন। ১৩ মাস আগে ট্রাম্পের প্রথম ইমপিচের ট্রায়ালেও এ দুজনই ছিলেন। এ বিচারে জুরি বোর্ডের সদস্য হবেন সকল সিনেটর।
সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সিনেটররা ভোট দেবেন ট্রাম্প দোষী কিনা সে ব্যাপারে। ডেমোক্র্যাটদের ৫০ ভোটের সাথে লাগবে ১৭ রিপাবলিকানের সমর্থন, তাহলেই দুই তৃতীয়াংশ ভোটে ইমপিচমেন্ট-আর্টিক্যাল চূড়ান্ত হবে। অথাৎ ভবিষ্যতে ট্রাম্প আর কোন ফেডারেল পদ-পদবি পাবেন না। সিক্রেট সার্ভিসের সুবিধাও থাকবে না। অবসরকালিন ভাতার প্রশ্নই উঠবে না।
পরবর্তীতে তিনি যে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন সে অধিকারও হারাবেন। এটি রিপাবলিকানরাও চাচ্ছেন। ট্রাম্পের মতো লোককে রিপাবলিকান পার্টির সত্যিকারের সমর্থকরা দেখতে চান না বলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা