যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান চীন নিয়ে তার এবং তার সংস্থার অবস্থান সম্প্রতি খোলাখুলি প্রকাশ করেছেন এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় দীর্ঘ এক লেখায় জন র্যাটক্লিফ সম্প্রতি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন “গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি” হিসাবে দেখা দিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই গত মাসে গ্যাং চেন নামে একজন প্রখ্যাত এমআইটি ন্যানো টেকনোলজিস্টকে গ্রেফতার করে। চীনা-বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সুবিধাভুক্ত এই ব্যক্তিকে চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্থাপনায় তার ঘনিষ্ঠ এবং লাভজনক সংযোগ গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত। গ্যাং চেনই শুধু নন, আরও অনেক চীনা আছেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং তাদের চীনা গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। আর এই অভিযোগে অর্ধ ডজন লোককে গত বছর গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ।
মার্কিন বিচার বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এসব অপারেশনের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন রকমের প্রয়াস উন্মোচিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে এশিয়ার প্রভাবশালী সামরিক শক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবকে দমন করতে এসব চীনের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেছেন অনেকে। ট্রাম্প আমলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি, ভিসা জালিয়াতি, সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি, অবৈধ কার্যক্রমের অপরাধে শতশত তদন্ত এবং দেশব্যাপী কয়েক ডজন গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ।
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জন রেক্টক্লিফ সতর্ক করে সম্প্রতি বলেছেন, চীন এখন আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার। তিনি জানান, বেইজিং চায় আমেরিকাকে দমিয়ে রাখতে। এ কারণে বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে, সেনা দিয়ে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাহায্য করছে দেশটি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য চীনকে সবচেয়ে বড় হুমকি চিহ্নিত করে বেইজিংকে তীব্রভাবে আক্রমণও করলেন এই শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বলেন, ‘মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ নিশ্চিত যে আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগতখাতে আধিপত্য বিস্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।'
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার