এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন ও অর্থনীতি সচল করতে ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ 'ওয়ার্ক ফ্রম বালি' প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনজ্জীবিত করতে ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি কর্মচারীদেরও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক করা হবে। এছাড়াও সমুদ্র ও বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রণালয় নুসা দুয়াতে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সহকারী কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি এখানে ফিরতে শুরু করেন, তাহলে বালির অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করবে।'
করোনা মহামারীর কারণে পর্যটন শিল্পকেন্দ্রিক বালির সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানের অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস নামে। দ্বীপের হোটেল ও সৈকতগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বালি প্রদেশের জিডিপি কমেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এ সংকোচনের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এ দ্বীপে মাত্র ২৫ জন পর্যটক এসেছেন। যেখানে গত বছর একই সময়ে ১১ লাখেরও বেশি পর্যটকের আনাগোনা ছিল।
বালির কেন্দ্রীয় সরকার জুলাই থেকে টিকাদান কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে খুব শিগগির আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য এ দ্বীপ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির