তাইগ্রের বিদ্রোহী গ্রুপ ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর লালিবেলা দখলে নিয়েছেন। শহরটিতে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। ফলে লালিবেলার এই স্থাপনাও এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
ঐতিহাসিক লালিবেলা ৩ শতকে পাথর কেটে নির্মিত একটি চার্চ। এটি অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার তাইগ্রের বিদ্রোহী গ্রুপ দেশটির এই ঐতিহাসিক শহরের দখল নেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে ডিডাব্লিউ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরটি দখলের পরে ভীত হয়ে পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লালিবেলার ডেপুটি মেয়র ম্যান্ডেফ্রো তাদেসে বলেন, লালিবেলা শহরের দখল নিয়ে নিয়েছেন তাইগ্রের বিদ্রোহীরা। যদিও এখানে কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তবু বাসিন্দারা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আমি চার্চের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
তাইগ্রে অঞ্চলে গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সংঘাত ছড়িয়ে গেছে আমহারা এবং আফার অঞ্চলেও। সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। এসব মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতির ঘটনার জন্য তাইগ্রের বিদ্রোহী এবং দেশটির সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীরা একে অপরকে দায়ী করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসার পর ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে, যা তাকে এনে দিয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার। কিন্তু টাইগ্রে অঞ্চলে তিনি শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ হন। সেখানে বিদ্রোহীদের দমনে গত নভেম্বরে সেনাবাহিনী পাঠানোর পর থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর