গত ৩০ আগস্ট তল্পিতল্পা গুটিয়ে আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করেছে মার্কিন সেনারা। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও একদিন আগেই কাবুল বিমানবন্দর থেকে আমেরিকার শেষ প্লেনটি উড্ডয়ন করে।
তবে তার আগে ১ লাখ ২৩ হাজার মার্কিনি ও আফগান নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপরও আফগানিস্তানে বেশ কিছু মার্কিন নাগরিক রয়ে গেছে। আটকে পড়া এসব মার্কিনি ও তাদেরকে সহযোগিতাকারী যেসব আফগান দেশ ছাড়তে চায় তাদের সড়কপথে কিংবা বিকল্প পথে সরিয়ে সরিয়ে নিতে দেনদরবার শুরু করেছে আমেরিকা।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বাইডেন প্রশাসন কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে আফগান দোভাষীদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সবধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি। আকাশ পথ, সড়ক পথ যেকোনওভাবে তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য।”
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন আফগানিস্তান ছেড়ে আসা লোকজনের পুনর্বাসনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে যারা অস্থায়ীভাবে আশ্রয় পেয়েছেন।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, আটকে পড়াদের সরিয়ে নিতে তালেবানের সাথেও চলছে যোগাযোগ। এছাড়াও মার্কিনী ও মিত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তালেবানের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। কথায় নয়, কাজ দিয়ে বিচার করা হবে তালেবানকে, এমন কথাও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তবে গোষ্ঠীটির আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে সন্দিহান যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক বলেন, তালেবান সত্যিই বদলে গেলে, আইএস বিরোধী লড়াইয়ে তাদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম