রতন টাটার সংস্থার কাছে ভারতের সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার বিক্রির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
টাটা গোষ্ঠীর জমা দেওয়া দরপত্রটি সরকারি অনুমোদন পেয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা খারিজ করেছে বিনিয়োগ ও জনসম্পদ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
ভারতের বিনিয়োগ ও জনসম্পদ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টুইটারে জানানো হয়েছে, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক নিলাম সংক্রান্ত দরপত্র সরকার অনুমোদন করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা ভুল। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা সরকারকে জানানো হবে।’
কয়েক মাস আগে দেশটির কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই মতো দরপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। রতন টাটার সংস্থার পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়ার প্রায় ৮৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব চেয়ে দরপত্র জমা দিয়েছেন বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেটের কর্নধার অজয় সিং। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সরকারের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, টাটা সন্সের দরপত্রটি গ্রহণ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
এর আগেও ২০১৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স সংস্থাটির ৭৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রির করার আগ্রহ প্রকাশ করে মোদি সরকার। এরপর ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর ফের এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির তোড়জোড় শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৩১ সালে টাটা গোষ্ঠীরই হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম বিমান পরিষেবা। সেই টাটা এয়ারলাইন্সের নাম বদলে ১৯৪৬ সালে হয় এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। স্বাধীনতার পরে সংস্থার মালিকানা চলে গিয়েছিল সরকারের হাতে। ২০১৪ সালে দেশের বিমান পরিষেবায় বিদেশি লগ্নির পথ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সে বছর জুনে মালয়েশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আকাশে এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া-র পরিষেবা শুরু করে টাটা গোষ্ঠী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
