ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদে। তার নাম জ্ঞানেশ্বর ওটে। একজন কৃষক। হঠাৎ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়ল ১৫ লাখ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ টাকা।
এই টাকা পেয়ে ওই ভেবেছিলেন প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাকালে নাগরিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর এমন গুজব রটেছিল দেশজুড়ে। এবার তিনি সত্যি টাকা পেয়ে ঘটনাটি বিশ্বাসও করলেন। অ্যাকাউন্টে আসা সেই টাকা দিয়ে একটি বাড়ি বানান ওই কৃষক। কিন্তু ৬ মাস পর ব্যাংক জানায়, ভুল করে তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ওই টাকা। অন্য কাউকে পাঠাতে গিয়ে ঢুকে গেছে তার অ্যাকাউন্টে। টাকা ফেরানোর ভাবনায় এখন ঘুম উড়ছে ওই কৃষকের।
গত বছরের আগস্টে নিজের জনধন অ্যাকাউন্টে হঠাৎই ঢুকে পড়ে এই টাকা। এত টাকা অ্যাকাউন্টে পেয়েই দেখে চোখ কপালে ওঠে জ্ঞানেশ্বরের। ভেবেছিলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রত্যেককে ১৭ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অবশেষে পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খুশিতে মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তারপর তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা থেকে ১০ লাখের মতো টাকা তুলে নিজের বাড়ি বানান জ্ঞানেশ্বর। মাস ছয়েক পর একদিন তার হাতে আসে ব্যাংকের চিঠি। তাতে লেখা, “৬ মাস আগে ভুল করে আপনার ব্যাংকের খাতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছিল। ওই টাকা দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।”
জানা যায়, ওই ১৭ লাখ টাকা আসলে পিম্পলওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের খাতে পাঠানো হয়েছিল, যা ব্যাংকের ভুলে গিয়ে ঢোকে জ্ঞানেশ্বরের অ্যাকাউন্টে। ভুল ধরা পড়তেই পেরিয়ে যায় ৬ মাস। চিঠি পেয়ে জ্ঞান হারানোর দশা জ্ঞানেশ্বরের!
তিনি বলেন, “মোদীজি পাঠিয়েছেন ভেবেই আমি সন্দেহ করিনি। এত দিনে ওই টাকায় বাড়ি বানিয়েছি। এখন শুনছি উন্নয়নের জন্য ওই টাকা পঞ্চায়েতকে পাঠানো হয়েছিল। ভুল করে তা চলে আসে আমার খাতায়। এখন আমি কী করব!”
নতুন বাড়িতে বসে জ্ঞানেশ্বরের আক্ষেপ, “দশ লাখের বেশি খরচ হয়ে গেছে। বাকি টাকা ছিল, তা ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন এই ১০ লাখ টাকা আমি কোথা থেকে ফেরত দিব।” সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বিডি প্রতিদিন/কালাম