এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ইউক্রেন সীমান্তে ইতোমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। পশ্চিমারা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে- যেকোনও সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কমপক্ষে ১২টি দেশ নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।
তবে যুদ্ধের যেকোনও ধরনের পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া বিপুল সৈন্য সমাবেশকে যুদ্ধের ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে বারবার সতর্কতা জারি করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
তারা জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
রাশিয়াকে বিরত রাখা সম্ভব পশ্চিমাদের?
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েক দফা কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন বলেছেন তার সাথে দীর্ঘ বৈঠকের সময় পুতিন তাকে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি যুদ্ধ শুরু করবেন না।
কিন্তু যুদ্ধ না করলেও কতদূর যাবে রাশিয়া?
হোয়াইট হাউজ বলছে, ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানো ছাড়াও রাশিয়ার হাতে অন্য অস্ত্রও রয়েছে, যেমন সাইবার হামলা এবং আধা-সামরিক নানা কৌশল।
জানুয়ারিতে যখন ইউক্রেন সরকারের ৭০টি ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায় তখন রাশিয়ার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে, যদিও রাশিয়া বলেছে তারা এর পেছনে ছিল না।
আমেরিকা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার ভেতর প্রথম হামলা করেছে- এমন একটি বানোয়াট প্লটের ভিডিও তৈরি করে সামরিক অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। আবার রাশিয়া বলেছে, এসব কথা আমেরিকার কল্পনাপ্রসূত।
রাশিয়া সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাত লাখ রুশ পাসপোর্ট দিয়েছে যাতে নিজের নাগরিকদের রক্ষার যুক্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এদিকে, ন্যাটো জোট সরাসরি বলেছে, ভবিষ্যতে কাউকে সদস্য করা যাবে না বলে রাশিয়ার দাবি কোনওভাবেই মানা হবে না। ন্যাটোর ওপেন ডোর নীতির দরজা বন্ধ করতে আমরা কাউকেই অনুমতি দেব না, বলেছেন আমেরিকার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েনডি শেরম্যান।
তবে ব্রিটেনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম পাইরিসটাইকো বলেছেন, “যেভাবে ইউক্রেনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ব্লাকমেইল করা হচ্ছে তাতে যুদ্ধ এড়াতে ন্যাটোর সদস্যপদের ইস্যুতে তারা ‘নমনীয়’ হতে ইচ্ছুক।”
সুইডেন ও ফিনল্যান্ড, যারা এখনও ন্যাটোর সদস্য নয়, তারা যেন ন্যাটোতে না যায় তারও চেষ্টা করছে রাশিয়া, যদিও ওই দুই দেশ বলেছে তারা মস্কোর কথামতো চলবে না। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম