৯২ হাজার সোলার প্যানেল, দেখতে অনেকটা বরই ফুলের মতো। ভেসে আছে জলে। চোখ জুড়ানোই এই দৃশ্যেই কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। সাথে ভূমি কেন্দ্রীক উন্নয়ন প্রকল্পের ধারণা থেকেও বেরিয়ে আসতে চায় দেশটি।
হাপচিওন এলাকায় ১৭টি বড় বরই ফুল আকৃতির এই প্যানেলেরি বিস্তৃতি ১২ মাইল জুড়ে। এখান থেকে ৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। যেখান থেকে অনায়াসে ২০ হাজার পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যাবে বলে দাবি করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি।
গ্রিনপিস কোরিয়ার এক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাপক পরিমাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দরকার। সে ক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ হতে পারে ভালো সমাধান। আর জলভাগে করা এই প্লান্ট অনেকখানি ভূমিও বাঁচিয়ে দেবে।’
২০২১ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই ইন বলেছিলেন, ‘ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ২০৫০ সালের মধ্যে ৯ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বা নয়টি পারমাণবিক চুল্লির সমান বিদ্যুৎ যুক্ত করতে পারবে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বেশ সহায়তা করবে।’
সূত্র: ব্লুমবার্গ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল