ভারতের ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট)’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি। কেরালার কান্নুরে অনুষ্ঠিত দলের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিন রবিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সিপিআইএম’এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন এই সিনিয়র বাম নেতা।
সিপিআইএম’এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনবার এই পদে থাকতে পারেন। এর আগে ২০১৫ প্রথমবার তিনি ওই পদে বসেন। এরপর ২০১৮ সালেও পুনরায় ওই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ইয়েচুরি। ইয়েচুরির আগে ২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন প্রকাশ কারাট।
এদিন দলের পলিটব্যুরো সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। সিপিআইএম পলিটব্যুরোতে আছেন ১৭ জন সদস্য। সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও ওই কমিটিতে আছেন প্রকাশ কারাট, পিনারাই বিজয়ন, বৃন্দা কারাট, মানিক সরকার, কোদিয়েরি বালাকৃষ্ণান, জি.রামকৃষ্ণন, সুর্যকান্ত মিশ্র, এম.এ.বেবি, নিলোৎপল বসু, তপন সেন, সুভাসিনী আলি, মুহাম্মদ সেলিম, বি.ভি.রাঘভুলু, অশোক ডাভালে, এ.বিজয় রাঘবন এবং রামচন্দ্র ডোম। সেক্ষেত্রে এই প্রথম সিপিআইএম’এর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটিতে জায়গা পেলেন কোন দলিত নেতা- তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র বাম নেতা রামচন্দ্র ডোম। ১৯৬৪ সালে পলিটব্যুরোর সূচনা হওয়ার পর থেকে কোন দলিত মুখকে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য অনেক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল।
তবে বয়সের কারণে পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যটির সিনিয়র বাম নেতা বিমান বসু ও হান্নান মোল্লা। ঠিক একই কারণে অব্যাহতি পেয়েছেন কেরালার সিনিয়র বাম নেতা এস.রামাচন্দ্রন পিল্লাই। যদিও তাদের তিনজনকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসাবে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৮৫। সেখানেও ৭৫ বছর বয়সী বা তার বেশি বয়সের নেতা-নেত্রীদের সদস্যপদে রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাওয়া ১৭ জন নতুন মুখ, নারী মুখ ১৫ জন। এই কমিটিতে সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও অন্যতম সদস্যরা হলেন প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার, পিনারাই বিজয়ন, বৃন্দা কারাট, বি.ভি.রাঘভুলু, কোদিয়েরি বালাকৃষ্ণান, জি.রামকৃষ্ণন, সুর্যকান্ত মিশ্র, এম.এ.বেবি, নিলোৎপল বসু, তপন সেন, সুভাসিনী আলি, মহম্মদ সেলিম, সুপ্রকাশ তালুকদার, কে.কে.শৈলজা, দেবলীনা হেমব্রম, শ্রীদীব ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, শমীক লাহিড়ী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন