ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরে গেছেন ইউরোপের চার দেশের সরকারপ্রধান। ট্রেনে করে বৃহস্পতিবার তারা কিয়েভে পৌঁছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপের চার নেতা এমন এক সময় কিয়েভ সফরে গেলেন যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দেশটির বাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইউরোপের চার নেতা ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দেয়।
রুশ হামলার মুখে ইউক্রেনের বাহিনী পূর্বাঞ্চল দোনবাসে কোণঠাসা। পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ‘পুরোপুরি সহায়তা না দেওয়ার’ অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস কিয়েভ সফরে গেছেন। তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতেই তারা কিয়েভে এসেছেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কিয়েভে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ইউরোপের চার দেশের নেতারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরপিন শহর পরিদর্শনে যান। এই সফরের বিষয়ে টুইট করে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, বুচার মতো ইরপিনও রাশিয়া যুদ্ধের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার একটি প্রতীক। এ শহরের নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ একটি সতর্কবার্তা দিচ্ছে; আর তা হলো, এই যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।
ইউক্রেন ও দেশের জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে ইউরোপের চার নেতা কিয়েভে সফরে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন জেলেনস্কি। এর আগে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, প্রতিদিন আমি ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পেতে লড়াই করছি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তবে মস্কো পরবর্তীতে জানায়, তারা পূর্বাঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে এখন পুরোপুরি মনোযোগ দেবে। রাশিয়ার হামলার ঝুঁকির মধ্যেই গত মার্চে কিয়েভ সফরে যান ইউরোপের তিন দেশ পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকেরা কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে সর্বশেষ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইউরোপ তথা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির নেতারা রয়েছেন ওই সফরে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল