ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হতে সমর্থন দিলেও দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস এলাকায় রুশ বাহিনীর বিপক্ষে লড়াই করতে ভারী অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সফর করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী তিন দেশের নেতা- জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস। এ সময় তারা ইইউ-তে যোগ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের আবেদন সমর্থন করেন এবং অবিলম্বে ইউক্রেনকে সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দেয়া উচিৎ।
তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য যে অতিরিক্ত ভারী অস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় পরিবারেরই সদস্য। তারা এই পরিবারের সদস্য হওয়ার অধিকার রাখে। তবে ইইউ’র সদস্য হওয়ার জন্য সব যোগ্যতা তাদের পূরণ করতে হবে।
অন্যদিকে, ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি বলেন, রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনের মানুষ সেই সব মূল্যবোধকেই রক্ষা করছেন, যার ওপর ভিত্তি করেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন গড়ে উঠেছে।
ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী শাখা, শুক্রবার সদস্য পদের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রার্থী হওয়ার জন্য ইউক্রেনের আবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সুপারিশ ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে কয়েক বছর লাগতে পারে।
এদিকে, ইউরোপী নেতাদের এই সফর ইউক্রেনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। যদিও দেশটি তার দীর্ঘ-প্রত্যাশিত লক্ষ্য ইইউ প্রাথিতার মর্যাদার কাছাকাছি চলে গেছে, তবে পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে অঞ্চলের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে দূরপাল্লার অস্ত্রের বড় কোনও প্রতিশ্রুতি পায়নি।
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা নতুন সরবরাহ আশা করি, বিশেষ করে ভারী অস্ত্র, আধুনিক রকেট আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।”
তিনি বলেন, “অস্ত্রের প্রতিটি চালান মানুষের জীবন রক্ষা করে। আর এর বিলম্ব বা স্থগিত মানেই প্রতিটি দিন রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার একটি সুযোগ।” সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম