জুলাই মাসের শেষ দিন, সূর্যোদয়ের মাত্র এক ঘণ্টা পর; ফজরের নামাজ শেষে কাবুলের বাসার বেলকোনিতে এসেছিলেন আল কায়েদার দীর্ঘ মেয়াদি নেতা আয়মান আল-জাওয়াহারি।
এটাই ছিল তার জীবনের শেষ অধ্যায়। এরপরই সকাল ৬.১৮ নাগাদ মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্রে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরির জীবনের যবনিকাপাত ঘটে।
তবে এই ঘটনায় নাকি সম্পূর্ণ অক্ষত আছে জাওয়াহিরির কন্যা ও স্ত্রী। তাদের গায়ে নাকি কোন আঁচড়ও লাগেনি, এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন। আশপাশে কোন সাধারণ মানুষেরও নাকি একদমই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে কিন্তু একজন ছাড়া আর কারো কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, এটা কী করে সম্ভব? স্বাভাবিকভাবেই উঠছে সেই প্রশ্ন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন নিয়েই একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি নানা মাধ্যম যেমন, হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, জাহাজ, বিমান কিংবা ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা যায়।
ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে বাগদাদে হত্যার সময় ২০২০ সালে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বিশেষ লেজার রশ্মি ব্যবহার করে টার্গেটে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ছোড়ার পর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর থেকে এই লেজার রশ্মিকেই অনুসরণ করে।
জাওয়াহিরিকে হত্যায় এই হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রেরই একটি বিশেষ ধরন (আর-৯এক্স) ব্যবহার করা হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যাতে বিস্ফোরকের বদলে থাকে ছয়টি ব্লেড, যা তার লক্ষ্যবস্তুকে গতির সাহায্যে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়।
তবে ব্লেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রে জাওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর কিংবা অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা সিআইএ।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল