ইরান এখন সামরিক ড্রোন রফতানিকারক দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদে। তিনি বলেছেন, অ্যারোস্পেসে ইরানের সঙ্গে এখন যে কাউকে হিসাব করে কথা বলতে হয়।
তিনি সোমবার তেহরানে এক সামরিক অনুষ্ঠানের অবকাশে একথা জানান। তিনি সমরাস্ত্র ও এয়ার ডিফেন্স সরঞ্জাম উৎপাদনের দিক দিয়ে ইরানের দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
জেনারেল হাজিজাদে বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের এখন যে সক্ষমতা রয়েছে অতীতে তা ছিল না। এক সময় যেখানে আমাদেরকে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত আমদানি করতে হতো সেখানে আজ আমরা ড্রোন রফতানি করছি। নিঃসন্দেহে বিজ্ঞান-ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রখ্যাত গবেষকদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে আমরা আজ এখানে এসে পৌঁছেছি।
আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার বলেন, ইরানের অ্যারোস্পেস শক্তিকে শত্রুরা ভয় পেতে শুরু করেছে। আমরা বহুবার পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় পশ্চিমাদের বলতে শুনেছি যে, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি পশ্চিমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরানের ঝুলিতে বর্তমানে বহু ধরনের সামরিক ও বেসামরিক ড্রোন রয়েছে। ইরান গত এপ্রিলে নিজের সর্বশেষ সামরিক ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালায়। গাজা নামের ওই ড্রোনের রয়েছে ২১ মিটার দীর্ঘ ডানা এবং এটি এক উড্ডয়নে ৩,১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। ড্রোনটি ৫০০ কেজি ওজনের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম