ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) পর উপসাগরীয় দেশ আমিরাত থেকে ভারতের স্বর্ণ আমদানি বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে সিইপিএ চুক্তির কয়েক মাসের ভেতর স্বর্ণ আমদানি ৮০ টন থেকে বেড়ে ১২০ টনে দাঁড়িয়েছে।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বর্ণ আমদানি আরও বাড়তে পারতো। কিন্তু সিইপিএ চুক্তির আওতায় প্রথম ৫ বছর ভারত আমিরাত থেকে সুবিধায় সর্বোচ্চ ১২০ টন স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে। অবশ্য পাঁচ বছর পর ২০০ টন আমদানি করা যাবে।
শিল্প গ্রুপ ‘অল ইন্ডিয়া জেম এন্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিল’ এর পরিচালক এস আব্দুল নাজর বলেন, চুক্তির সুবিধা (সিইপিএ) ছাড়াই ২০২১ সালে আমিরাত থেকে ভারতে ৮০ টন স্বর্ণ আমদানি হয়। তিনি বলেন, চলতি বছর সিইপিএ’র কারণে সংযুক্ত আমিরাত থেকে স্বর্ণের চালান অন্য দেশের তুলনায় ১ শতাংশ কম শুল্কে আসে যা গুরুত্বপূর্ণ।
হলুদ ধাতুর জন্য ভারতের সব থেকে বড় উৎস সুইজারল্যান্ড। দেশটি থেকে গত বছর ২৪০ টন হলুদ ধাতু আমদানি করে দিল্লি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি ছিল আমিরাত থেকে (৮০ টন)।
বিক্রি কমছে
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ এবং অলঙ্কারের ভোক্তা দেশ। চলতি বছরের মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে আমিরাতের সঙ্গে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করে ভারত। এর ফলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আমদানি শুল্ক কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে ভারত সরকার শুল্ক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করেছে। যৌথ এই কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে স্বর্ণালঙ্কারের দাম কম। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তারল্য সংকটের কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। জুয়েলার্স এবং আমদানিকারকরা ১৫ শতাংশ শুল্ক হ্রাস দেখছেন না। ভারতের কেরালা প্রদেশ স্বর্ণের অন্যতম বড় ভোক্তা। চাহিদা হ্রাসের কারণে প্রদেশটি এ বছর সর্বনিম্ন রাজস্ব দেখেছে। অন্য প্রদেশগুলোতেও একই অবস্থা
দ্বিমুখী লাভ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সিইপিএর জন্য ভারত যেমন লাভবান হচ্ছে একইভাবে লাভবান হবে আমিরাতও। চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমিরাত শূন্য (০) শতাংশ শুল্কে স্বর্ণের তৈরিকৃত পণ্য আমদানি করতে পারবে। চুক্তি ছাড়া তাদেরকে ১৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হতো।
আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) শেষের দিকে ভারতের মুম্বাইয়ে জেম অ্যান্ড জুয়েলারি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। অল ইন্ডিয়া জেম এন্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সাইয়াম মেহরা বলেন, আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির কারণে জেম এন্ড জুয়েলারি সেক্টর উপকৃত হবে। আমিরাতের ক্রেতা ছাড়া প্রদর্শনী সম্পূর্ণ হতো না। দিপাবলির সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল