পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাজিমি। তিনি বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার যদি অবসান না হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার কাজিমি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিবাদে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরের খেলোয়াড়েরা কপটতার আশ্রয় নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইরাকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে নতুন নির্বাচন হওয়ার নয় মাস পরে এসেও সরকার গঠন করা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা কাজিমি জানিয়েছেন, গত দুই দিনের সংঘর্ষে যে সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার উৎস খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমরা আশা করেছিলাম অস্ত্র দিয়ে নয় বরং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হবে।"
ইরাকের প্রখ্যাত শিয়া আলেম মুক্তাদা আল-সাদর গত সোমবার ঘোষণা দেন যে, তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন এবং সংগঠনের কার্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছেন। তার এই ঘোষণার পর ইরাকজুড়ে প্রচণ্ড রকমের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
মুক্তাদা সাদরের সমর্থকরা ইরাকজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং রাজধানী বাগদাদের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপন এবং দপ্তরগুলোতে ঢুকে দখলদারিত্ব কায়েম করে। এ পরিস্থিতিতে ইরাকের সামরিক বাহিনী সারা দেশে কারফিউ ঘোষণা করে। কিন্তু রাতভর সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে।
দুই দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং ৭০০ আহত হয়েছে। বাগদাদ গত তিন বছর তুলনামূলক শান্ত থাকার পর এই অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে মুক্তাদা আল-সাদর তার সমর্থকদের সহিংসতা এক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার জন্য আল্টিমেটাম দেয়ার পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
সূত্র: রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন