জাতীয় কংগ্রেস উত্তর-পূর্ব ভারতকে সহিংসতা ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে, এই অভিযোগে করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সেই সাথে তার দাবি বিজেপি শাসনকালে গত আট বছরে আসাম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। শনিবার গুয়াহাটিতে দলের একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনের পর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন শাহ।
কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে শাহ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসের ৭০ বছরের শাসনকালে উত্তর-পূর্ব ভারতে সহিংসতা এবং নৈরাজ্য নিয়ে এসেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত আট বছরে এই অঞ্চলটি মূলধারায় ফিরে এসেছে।
তার দাবি বিজেপি সরকার আসামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, তারই ফলস্বরূপ হিসেবে প্রায় ৯ হাজার মানুষ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে।
তার অভিমত, এর আগে আসামকে হিংসা, সন্ত্রাস ও প্রতিবাদের রাজ্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। এখন, এটি শান্তি, অবকাঠামো এবং উন্নয়নের জন্য পরিচিত।
রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসকে রাহুলজি একটি এজেন্ডা দিয়েছিলেন যে ২০১৯ সালে তারা ক্ষমতায় এলে উত্তর-পূর্ব থেকে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৫৮ (AFSPA) প্রত্যাহার করা হবে, কিন্তু সেটি ছিল তুষ্ট করার জন্য। যখন এটি আমার কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম যে আমরা প্রথমে উত্তর-পূর্বে শান্তি আনব এবং AFSPA সরিয়ে ফেলব তবে এটি কেবল তুষ্টির জন্য করব না।
বিজেপির নতুন এই কার্যালয়ের উদ্বোধন করে দলের সিনিয়র লিডার আরো বলেন, বিজেপি কার্যালয়গুলি কেবল ইট-মার্টারের বিল্ডিং নয় বরং দলীয় কর্মীদের উৎসর্গ, আবেগ, প্রতিশ্রুতি এবং কঠোর পরিশ্রমকেও প্রতিফলিত করে।
রাজ্যকে বন্যা-মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজেপির ইশতেহারে আমরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও বন্যামুক্ত আসামের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা ইতিমধ্যে প্রথম দুটি অর্জন করেছি। আমাদের আরও পাঁচ বছর সময় দিন, আমরা আসামকে বন্যামুক্ত করব।
এর আগে বিজেপির নতুন কার্যালয় উদ্বোধনে অমিত শাহ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, দলের রাজ্য সভাপতি ভবেশ কলিতা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাসহ অন্যরা।
ছয় তলা বিশিষ্ট এই বহুতল ভবনের নাম রাখা হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ির নামে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল