ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার চলা অবস্থায় হঠাৎ করেই কিছুক্ষণের জন্য তা হ্যাকারদের কবলে পড়ে যায়। এতে সম্প্রচার কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাষ্ট্রী সম্প্রচার মাধ্যমে সংবাদ বুলেটিন চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদ বুলেটিন চলার সময় বিক্ষোভকারীরা টেলিভিশন হ্যাক করে পর্দায় সরকারবিরোধী ছবি ও ক্যাপশন প্রকাশ করে। এতে সম্প্রচার কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
টেলিভিশন পর্দায় প্রথমে একটি মুখোশ দেখা যায়। এর পরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির একটি ছবি ভেসে ওঠে।
ওই ছবিতে দেখা যায়, খামেনির চারপাশে আগুন জ্বলছে। জানা গেছে, হ্যাকাররা তাদের দলটির নাম ‘আদালত আলি’ বলে উল্লেখ করেছে।
একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হোন এবং জেগে উঠুন। আরেকটি ছবিতে লেখা হয়, আপনাদের থাবায় আমাদের মতো তরুণদের রক্ত ঝরছে।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এই ধরনের প্রদর্শন ঐতিহাসিকভাবে বিরল। তিনি ইরানের মধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এর তিন দিন আগে তেহরানের নৈতিক পুলিশ ‘যথাযথভাবে’ হিজাব না পরার কারণে তাকে আটক করে। মাসা আমিনির পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে।
যদিও গত শুক্রবার প্রকাশিত ফরেনসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনোরকম আঘত নয় বরং অসুস্থতাজনিত কারণে মাসার মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে সমগ্র ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন