পারমাণবিক বোমা বানাতে ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উন্নীত করার প্রয়োজন হয়। ইরান ৮৪ শতাংশ ইউরেনিয়াম উন্নীত করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর পরিদর্শকের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইন্যান্সিয়াল সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে করা ‘২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি’ থেকে বের করে নেন। ওই চুক্তির শর্ত ছিল, ইরানের ওপর পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে আর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরান ২০১৯ সাল থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে থাকে। যদিও বরাবরই দেশটি বলে আসছে, পারমানবিক বোমা বানানোর মতো কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, গণমাধ্যমে তিনি ইরানের ইউরেনিয়াম উন্নীত করার রিপোর্ট দেখেছেন। এ বিষয়ে তেহরানের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আইএইএ-এর বোর্ড গভর্নরসে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে তেহরান বলছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেনি।
আল জাজিরার খবর বলছে, ইরানে পাওয়া এই ইউরেনিয়াম এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বিষয়টি নিয়ে ইরানের অ্যাটোমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র বেহরোজ কামালভানডি রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ফার্স নিউজে বলেন, ‘এটা সাধারণ ঘটনার বাইরে ভিন্ন কিছু নয়। ৬০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম পার্টিকেলসের উপস্থিতির মানে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম উন্নীত করা নয়।’ তিনি বলেন, আইএইএ বিষয়টি সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছেও রিপোর্ট করেনি। অথচ পশ্চিমা গণমাধ্যমে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে। এটা ইরানকে ‘দোষী’ করার অপচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল