পবিত্র রমজান মাসে গত বুধবার দুই দফায় মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এরপর ইসরায়েলে রকেট ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এর জবাবে লেবানন ও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে তার একটি বিশ্লেষণ দিয়েছেন লেবাননভিত্তিক লেভান্ট ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সামি নাদের। তার বিশ্লেষণ, দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
সামি নাদের বলেন, এখানে প্রধান খেলোয়াড় লেবাননের পক্ষে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল। উত্তেজনা বাড়লে তাতে উভয়ের কোনো স্বার্থ নেই। এটা বাস্তব যে, নেতানিয়াহু সরকার তার অভ্যন্তরীণ সংকট (বিচার বিভাগের সংস্কারের বিরুদ্ধে নিজ দেশে প্রতিবাদ) রপ্তানি করার চেষ্টা করছেন। নেতানিয়াহু সরকার বহিরাগত যে হুমকির মুখে তাহলো হিজবুল্লাহ এবং হামাস। কিন্তু এই দুটোর হুমকি সীমিত।
সামি নাদের হিজবুল্লাহর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ হিজবুল্লাহর নিজস্ব নির্বাচনী এলাকাসহ অর্থনীতি এবং লেবাননের জনগণের জন্য ‘খুব ক্ষতিকর পরিণতি’ হবে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল