পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইমরান খান। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে পড়ে গেছে শোরগোল। তারই মধ্যে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে গোপন রিপোর্টটি ফাঁস করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক তারবার্তার বরাতে কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পরোক্ষ চাপ দিয়েছিল আমেরিকা। ফাঁস হওয়া এই তারবার্তা নিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, যদি এটি হয়ে থাকে তা হবে বড় ধরণের অন্যায়।
শাহবাজ বলেন, তারবার্তা ফাঁস নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির দুটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্রসচিব আসাদ মজিদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকে কোন ষড়যন্ত্র কোনো হয়নি। তিনি আরও বলেন, ইমরান বলেছিলেন রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সরকারের সম্পর্ক ভালো হচ্ছিল। এ কারণে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমারা রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছি। যদি এই সরকার মার্কিন ষড়যন্ত্ররে কারণে ক্ষমতায় এসে থাকে, তাহলে এটি আমাদের জন্য লজ্জার। খবর উই নিউজ, ডন।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ সেই তারবার্তা গত বছর ইসলামাবাদে পাঠান এতে আসাদ মজিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের বিবরণ রয়েছে। তারবার্তায় ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ইমরান খানের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র ইন্টারসেপ্টকে নথিটি সরবরাহ করেছে বলে তারা জানিয়েছিল। পাকিস্তানি ক্যাবলে লু-এর উদ্ধৃতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, এর সত্যতা নিয়ে মন্তব্য না করলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, এই কথিত নথিতে এমন কিছুই নেই যা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে নেতা নির্বাচন বিষয়ে কোনো অবস্থান নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক