পূর্ব তিমুরের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মিয়ানমারের জান্তা সরকার। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছায়া প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব তিমুরের বৈঠককে কেন্দ্র করে রবিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর দেশটিজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় নির্বাসিত নেতারা গঠন করেছেন ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি),যেটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রচার করে থাকে জান্তা।
গত জুলাইয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন এনইউজির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার অং। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পূর্ব তিমুরের এই কাজকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছে।
একইসঙ্গে ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত পূর্ব তিমুরের চার্জ দ্য অ্যাফেযার্সকে ১ সেপ্টেম্বরের আগে মিয়ানমার ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মিয়ানমারের আইন লঙ্ঘন করতে আরও উৎসাহিত করছে পূর্ব তিমুর।
তিমুর-লেস্তে এ বহিষ্কার আদেশের নিন্দা করেছে। এক বিবৃতিতে ‘মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছে। জান্তা সরকারকে ‘মানবাধিকারকে সম্মান করতে এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক সমাধান খুঁজতে’ আহ্বান জানিয়েছে।
আসিয়ানের ১১তম সদস্য হতে চলেছে পূর্ব তিমুর। চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই জোটের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, যোগদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিয়েও আসিয়ান বিভক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জোটের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে দেশটি। জান্তাকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নিষিদ্ধ করা হলেও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আয়োজন করেছে আসিয়ান সদস্য থাইল্যান্ড। সূত্র: রয়টার্স, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম