ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তাকারী জোট কিয়েভকে সমর্থন করবে না, যদি শত্রুতা রাশিয়ার ভূখণ্ড পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়।
সিএনএনের খবর অনুসারে, যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে সমরাস্ত্রসহ অর্থ ও লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। সম্প্রতি ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ড ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে গিয়ে আক্রমণ করা যাবে না। যুদ্ধবিমান ইউক্রেনেই ভূমিতেই শত্রুদের তাড়াতে ব্যবহার করা যাবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সে-কথাই বলেছেন।
ইউক্রেনের জাতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি একটি বড় ঝুঁকি। আমরা অবশ্যই একা হয়ে যাব।’
সাংবাদিক জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেন, লড়াই রাশিয়ার মাটিতে স্থানান্তরের সময় এসেছে কিনা। জবাবে জেলনস্কি এই প্রশ্নের ওই উত্তর দেন। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের নিজস্ব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে মিত্রদের সাথে সম্পর্কের কারণে সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ পেয়েছে ইউক্রেন।
জেলেনস্কি আরও বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের অগ্রগতি এবং দায়িত্ব ‘সর্বদা দ্বিপাক্ষিক’। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা যে কোনও বিজয়, পাল্টা আক্রমণে যে কোনও বাধা, যে কোনও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ এবং যে কোনও দুর্বলতার অংশ।
জেলেনস্কি আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে রাজনৈতিক উপায়ে ক্রিমিয়ায় "রাশিয়ার অসামরিকীকরণের জন্য চাপ দেওয়া সম্ভব।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল