পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় আনা হলো নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী বিশেষ বিল। এই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপরাজিতা উইমেন এন্ড চাইল্ড ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল সংশোধনী বিল ২০২৪’।
মঙ্গলবার এই বিলটি বিধানসভায় উত্থাপন করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপর বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পরিশেষে সর্বসম্মতভাবে তা বিধানসভায় পাস হয়।
একে ‘ঐতিহাসিক বিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমি চেয়েছিলাম কেন্দ্রীয় সরকারই এই আইনটা আরও শক্তিশালী করুক। কিন্তু ওরা বিচার চায় না, এই ধরনের ঘটনা নিয়ে ওরা রাজনীতি করে। সেই কারণেই দ্রুত বিচারের জন্য ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র ৬৪(১), ৬৪(২) ৬৬, ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৩ নম্বর ধারায় সংশোধন করে আমরা ধর্ষণের ঘটনার অপরাধে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রস্তাব করেছি।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় এক তরুণী ডাক্তারী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ন্যায় বিচার এবং ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভে উত্তাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী আইন আনল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিল পাস হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে যাবে, রাজ্যপাল পাস করলে এটা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি সই করার পর তা আইনে পরিণত হবে। আর আইন পাস হলে তা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে এবং সব রাজ্য একে আগামী দিন মডেল করে রাখবে।
এদিকে, এই বিল নিয়ে আলোচনার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দুর অভিযোগ, আপনারা আরজি করের ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাট করেছেন। আপনাদের এই বিল আরেকটা আরজি কর হলে তবে কার্যকর হবে। তাই দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই