রাশিয়ার সতর্কতা ও সীমা অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি ইউক্রেনকে রুশ ভূখণ্ডে আক্রমণের জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন এয়ার বেসে অনুষ্ঠিত ইউক্রেনের মিত্রদের বৈঠকে তিনি প্রথমবারের মতো সরাসরি উপস্থিত থেকে এ দাবি করেন। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের জন্য আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হলে ইউক্রেনের শুধু নিজের ভূখণ্ডে নয়, বরং রুশ অঞ্চলেও দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্র হামলার ক্ষমতা প্রয়োজন। তার মতে, এর ফলে রাশিয়াকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। এ সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার সামরিক অবস্থান দুর্বল করার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান, বিশেষত কুরস্কে পরিচালিত আক্রমণের প্রশংসা করেন। অস্টিন বলেন, ইউক্রেনের আক্রমণ রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডেই প্রতিরক্ষা গড়তে বাধ্য করেছে। এ অভিযানকে ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে স্থায়ী সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যার মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত।
জেলেনস্কি আরও ঘোষণা করেন, তিনি এ মাসের শেষে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ইউক্রেনের বিজয়ের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। তবে রাশিয়ান ভূখণ্ডে হামলা চালানো কতটা সফল হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক আক্রমণগুলো যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেটি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার জন্য ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের দাবি, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করার জন্য কোনো উপযুক্ত শর্ত এখনো তৈরি হয়নি। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন, ভারত এবং ব্রাজিলকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তবে আলোচনা এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল